June 13, 2021
সমকাল
১৪৩টি কারখানা 'লিড প্লাটিনাম' সনদ পেয়েছে: বিজিএমইএ
দেশের ১৪৩টি পোশাক কারখানা ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) 'লিড প্লাটিনাম' সনদ পেয়েছে। শিল্পপ্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার মধ্যে ৩৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরও ৫০০টি কারখানা এই সনদের অপেক্ষায় আছে। গতকাল শনিবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলেই এই অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এ শিল্পকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেন তারা। প্রায় এক দশক ধরে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সরকার, ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প এখন সারাবিশ্বে নিরাপদ শিল্পের রোল মডেল। এ ধারা অব্যাহত রাখতে সব পক্ষের সহযোগিতা চান তিনি।
বণিক বার্তা
এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তীকাল: বিনিয়োগ আকর্ষণকে দেখা হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে
দেশে বিদেশী বিনিয়োগ কমছে। স্থানীয় বিনিয়োগও কাঙ্ক্ষিত গতিতে বাড়ছে না। সরকারের আশঙ্কা, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ-পরবর্তীকালে বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এজন্য এখন অবকাঠামো তৈরি, সংস্কার ও বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারী আকর্ষণের কথা ভাবা হচ্ছে। শুধু বিনিয়োগ আকর্ষণ নয়, উত্তরণ-পরবর্তীকালের চ্যালেঞ্জ হিসেবে এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি প্রতিবন্ধকতাকে চিহ্নিত করেছেন নীতিনির্ধারকরা। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে উত্তরণের প্রস্তুতিকালকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে চাইছেন তারা। উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের পর বাংলাদেশের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জগুলোর একটি খসড়া তালিকা তৈরি করেছে বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে গঠিত একটি বিশেষ কমিটি। তালিকায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়টিকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাক
ঘুরছে সুদের চাকা, বাড়বে খেলাপি ঋণ, শিল্প খাতের কী হাল হবে? করোনা-পরবর্তী ঋণের কিস্তি শোধ
একজন উদ্যোক্তা ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়েছেন তার আড়াই গুণ পরিশোধ করেছেন। তথাপি মূল অঙ্কের বেশি ঋণ রয়েই গেছে। এরই মধ্যে করোনার ছোবল। গত প্রায় দুই বছর ধরে বেশির ভাগ কলকারখানার উত্পাদন কার্যক্রম স্থবির হয়ে গেছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় সদাশয় সরকার ঋণের কিস্তি পরিশোধ শর্তসাপেক্ষে শিথিল করেছে। আপাতত, কাউকে আর খেলাপি না করতে নির্দেশনা রয়েছে। ফলে, কিস্তি পরিশোধ না করলে ঋণখেলাপি হওয়ার তকমা থেকে রেহাই মিলছে। কিন্তু ভবিষ্যত্ নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। প্রথমত, বেশি দিন তিনি এই সুবিধা পাবেন না। দ্বিতীয়ত, করোনা-পরবর্তী স্বাভাবিক সময়ে কিস্তি পরিশোধ করতে তিনি কতটা সক্ষম হবেন? সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ব্যবসা বন্ধ কিংবা কিস্তি প্রদান না করলেও সুদের চাকা কিন্তু বন্ধ নেই। এটা ঠিকই চলমান রয়েছে। তাছাড়া, ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ প্রভিশন করে লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ট ঘোষণা করছে। কাজেই, ব্যাংক অনাদায়ী কিস্তি (সুদসহ) ও আরোপিত সুদ যোগ করে পুনরায় আসল হিসেবে ধরে নিয়ে করে কিস্তি পুনর্নির্ধারণ করবে। তখন বেশির ভাগ উদ্যোক্তার পক্ষেই কিস্তি পরিশোধ করা তার সক্ষমতাই বাইরে চলে যাবে।
দৈনিক প্রথম আলো
সিপিডির সংলাপ:'ব্যবসায়ীদের এক হাতে দেয়, অন্য হাতে তাদের থেকে নেয়
‘প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়ীদের খালি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীরা লুটেরা। কদিন ধরে লাগাতার এসব বলা হচ্ছে। কথাগুলো শুনতে আমি আগ্রহী নই। আপাতদৃষ্টে মনে হচ্ছে, অনেক কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। এসব ছাড়ের দাবি জানিয়ে আসছি আমরা বহু বছর ধরেই। সরকার একটু একটু করে কমাচ্ছে।’ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বাজেট সংলাপে আজ শনিবার কথাগুলো বলেছেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির। আলোচনায় অংশ নেন তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সহসভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
অসহনীয় কর নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা : অসংগতি দূর করতে টাস্কফোর্স চেয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে এফবিসিসিআই
অসহনীয় ভ্যাট ও কর নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতি উত্তরণে ভ্যাট, শুল্ক ও করের অসংগতি দূর করতে অতিসত্বর উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ত্রিপক্ষীয় টাস্কফোর্স চায় এফবিসিসিআই। সংগঠনটি বলেছে, শিল্প খাত সুরক্ষায় অধিকাংশ পণ্য ও সেবা খাতে একই ধরনের সমস্যা নিরসন করা জরুরি। অন্যথায় ব্যবসা-বাণিজ্য নীতিমালায় খাতভিত্তিক বৈষম্য ও অসংগতি থেকে যাবে। এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ভ্যাট আইন নিয়ে কাজ করা দরকার। আমরাও মনে করি ভ্যাট আইনে অনেক সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা সমাধান ও শুল্ক-করের অসংগতি দূর করতে টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি।’