September 10, 2024
খবরের কাগজ
সেনা মোতায়েনের পরও থামছে না আন্দোলন পোশাকশিল্পে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়ছে
বিজিএমইএর সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নানামুখী সমস্যায় বিপর্যস্ত বৈশ্বিক অর্থব্যবস্থায় কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প। এ শিল্পের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলছে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি শ্রমিকনেতা ও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে কারখানাগুলোর স্বাভাবিক পরিবেশ ধরে রাখার নিশ্চয়তার আশ্বাস পাওয়ার পর কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শ্রমিকদের দাবি যৌক্তিক হলেও এই মুহূর্তে এর সমাধান আন্দোলন নয়। দেশের ক্রান্তিকালে শিল্প টিকিয়ে রাখা মূল চ্যালেঞ্জ। কারণ শিল্প না বাঁচলে অনেক শ্রমিক কর্মহীন হবেন এবং দেশের অর্থনীতি ক্ষতির মুখে পড়বে। তারা বলেন, অনেক দাবি মালিকরা মেনে নিয়েছেন। বাকিগুলো লিখিত দিলে আলোচনা করে সমাধান হবে। তাই আন্দোলন ছেড়ে শ্রমিকদের উচিত কাজে যোগ দেওয়া।
দৈনিক ইত্তেফাক
আজ থেকে সব পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত
সব পোশাক কারখানা আজ মঙ্গলবার থেকে খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইয়ের একজন পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া এলাকার কারখানা মালিক ও পোশাকখাতের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা জানান। আশিকুর রহমান তুহিন বলেন, সকল কারখানা আগামীকাল মঙ্গলবার খোলা থাকবে। এমনকি সোমবার যে ১১৯ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে– সেগুলোও খোলা থাকবে। তিনি বলেন, আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানা মালিক এবং আরএমজি ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
UNB
Continuing labour unrest: 1 in 6 garment factories in Ashulia, Bypail still closed
Production at around 70 factories was again hampered on Monday due to labour unrest in the Ashulia and Bypail areas, on the outskirts of Dhaka. “At least 70 factories in Ashulia were closed in the face of protests by garment workers. Production is going on in the other factories,” said Khandoker Rafiqul Islam, president of BGMEA. The valid demands of labour will be met and the law enforcement forces, factory owners, and BGMEA representatives are working together to improve the situation, he said. “All the factories will remain open tomorrow (Tuesday) amid protest and the law enforcement forces increased their vigilance to keep the situation under control,” added BGMEA president. BGMEA Director Shovon Islam told UNB that there was no unrest in July and August in the Ashulia and Bypail areas. But workers are now gathering in front of different factories and trying to sabotage factories.As a result, the owners of around 70 factories, out of 407 in Ashulia and Bypail, had to take the difficult decision of shutting their facilities.
যুগান্তর
ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পোশাক শিল্পের ভবিষ্যৎ
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের পোশাক খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি গভীর ষড়যন্ত্র কাজ করছে। এর মধ্যে রাজনীতিও ঢুকে পড়েছে। এ সংকট দ্রুত শক্তভাবে প্রতিহত করতে না পারলে দেশের পুরো পোশাকশিল্পে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিজিএমইএ-এর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, রেমিট্যান্স ও গার্মেন্ট-এ দুটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে পোশাকশিল্পকে ধ্বংস করতে চক্রান্ত শুরু করেছে। বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা দিতে শ্রমিক অসন্তোষের পুরোনো নাটক মঞ্চস্থ করতে চাচ্ছে। এ ধরনের দুর্বৃত্তদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। তিনি আরও বলেন, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে পোশাক খাতে অর্ডার কমে গেছে। বিদেশি ক্রেতারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের ভরসা দিতে সরকারের তরফ থেকে বার্তা দেওয়া উচিত।
কালের কন্ঠ
হঠাৎ শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, নেপথ্যে কী
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, শ্রমিকদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে বৈশ্বিক ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে তাদের কার্যাদেশ অন্য দেশে স্থানান্তর করতে পারে। এমন ঘটনা হবে মালিক-শ্রমিক উভয়ের জন্য আত্মহত্যার শামিল। এই প্রেক্ষাপটে সংকট সমাধানে শ্রমিকদের দাবিগুলো সমাধানের জন্য সরকারের তদারকি সংস্থা কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে (ডাইফি) কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। বিজিএমইএর পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি সামস মাহমুদ বলেন, সংকট সমাধানে সরকার, উদ্যোক্তা ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা আন্তরিক হলেও দিন দিন সংকট বাড়ছে। এতে আগামী মৌসুমে কাজ নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
The Daily Star
Zero net carbon emission: An untenable imperative : Md Mohiuddin Rubel, Director, BGMEA
Now is the time for all stakeholders -- the government, businesses, civil society, and individuals -- to unite in a collective effort to ensure this transformation is a sustainable one. We must harness the spirit of innovation and the power of community to build a Bangladesh that not only meets the needs of the present, but also safeguards the future for generations to come. The birth of this new Bangladesh is our opportunity to create a legacy of sustainability, resilience and shared prosperity. Let us seize this moment and take decisive action to ensure that this vision becomes a reality.
The Business Standard
What’s behind the unrest in the RMG sector?
RMG workers' protests erupted on 29 August. Their demands from the garment factory owners reportedly include the recruitment of an equal number of men and women, increased salaries and other benefits, and reduced workloads. Since the onset of the protests and in the post-Hasina era, there has been a lot of speculation about the causes or "instigators" of these protests.
Now, nearly two weeks into unrest and disruptions across the RMG hubs (such as Ashulia and Gazipur), we spoke to an RMG owner and a labour activist to understand the ground reality and ways to an amicable solution.
ভোরের কাগজ
গার্মেন্টস খাত এখনো নাজুক
নানা উদ্যোগেও অস্থিরতা থামছে না পোশাক খাতে। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল সোমবারও আশুলিয়ার অন্তত ৭৯টি কারখানার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাকি কারখানাগুলোতে উৎপাদন চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নজরদারি বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শিল্পাঞ্চলে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। যদিও পোশাক খাতের অস্থিরতা দ্রুত কেটে যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল ভোরের কাগজকে বলেন, আগের চেইন অব কমান্ড এখন নেই। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাও এবারের বিশৃঙ্খলা থামাতে পারেনি। ফলে বিষয়টা ছড়িয়ে গেছে। তিনি বলেন, আগে এই ধরনের সমস্যা হলে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রয়োজনে স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়ে সমস্যার সমাধান করা হতো। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ মানুষগুলোও বদলেছে। ফলে ‘শ্রমিক নেতারা বুঝে উঠতে পারছে না’ কীভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিদিন
ছয় ঘণ্টার বৈঠক, আজ খোলা সব কারখানা
সব তৈরি পোশাক কারখানা আজ খোলা থাকবে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গতকাল যে ১১৯ কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল সেগুলোও আজ খোলা থাকবে। গতকাল আশুলিয়া এলাকার কারখানা মালিক ও পোশাক খাতের শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের দীর্ঘ এক বৈঠকের পরে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন- বিজিএমইএর একজন পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সব কারখানা খোলা থাকবে। তিনি বলেন, আশুলিয়া অঞ্চলের কারখানা মালিক এবং আরএমজি ট্রেড ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং সম্ভাব্য সমাধানের জন্য একটি দীর্ঘ বৈঠক হয়েছে, সেই বৈঠকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছয় ঘণ্টার বেশি আলোচনার পর, উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছে, নারী-পুরুষ পরিচয়ের ভিত্তিতে নতুন নিয়োগ হবে যোগ্যতা ও কারখানার প্রয়োজনের ভিত্তিতে।
The Daily Star
Labour unrest continues to take toll on RMG production
More than 80 factories in the Ashulia-Gazipur industrial belt remained shut yesterday as workers demonstrated to realise several demands. Around 69 of the affected factories are owned by members of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association (BGMEA), according to data from the trade body. Md Mohiuddin Rubel, a director of the BGMEA, said some factories in Ashulia were closed due to fears of vandalism. "Some of us from the BGMEA sat with the workers' leaders, factory owners and law enforcement members to reach a consensus. We urged the workers' leaders to have patience, to get the workers to work peacefully and to support the industry and country during this period of crisis," he said. "We shall concentrate on all necessary and logical demands. Not working or closing the factory is never a solution in the long run. Business cannot be sustained under such conditions."